ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ , ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে -ডা. শফিকুর রহমান।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৩-১০ ১৮:৫৯:৪৫
ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে -ডা. শফিকুর রহমান। ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে -ডা. শফিকুর রহমান।



নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রমযান মাস শ্রেষ্ঠ মাস। এজন্যই শ্রেষ্ঠ যে, এ মাস আল্লাহর তা’য়ালার হিসাবে গ্রহণে শ্রেষ্ঠ মাস। আর এ মোবারক মাসে মহান আল্লাহ তা’য়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করেছেন। যা বিশ্ব মানবতার মুক্তির মহাসনদ। তাই এ মাসে বরকতকে কাজে লাগিয়ে সকলকে আত্মগঠন ও তাক্বওয়া অর্জনে ব্রতী হতে হবে। তিনি মাহে রমজানের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।


https://www.facebook.com/BanglarAloNewsBD/videos/626415300022057/?__cft__[0]=AZUoOQLKUoJw1QuFFFbnlv3a0SlV0HaaPvaBoyGgrw7160gCR14wrriBixI1AnpobvNVCFHffcmwxVCNyIz1RLfEiAnAt8jHB4Pwbr2b3bVDR3KLVoiemsbrWjzJ_jaaMDBmGlz7v84Pt__jruJWjo5tsJpog5i83nNAyBse-_yZNkxUMPymwd8-BnDvEf3P7t4XInbeNZldgyYdMUuFojmT&__tn__=%2CO%2CP-R


তিনি আজ রাজধানীর ইব্রাহীমপুরে মনিপুর স্কুল মিলনায়তনে কাফরুল থানা দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি  আবু নাহিদের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ,শাহ আলম তুহিন, জসিম উদ্দিন, নাজমুল হাসান খান প্রমূখ। 

https://youtu.be/odqviJzntmo

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিশ্বনবী (সা.) পবিত্র মাহে রমযানের জন্য অপেক্ষায় থাকতেন। তিনি রজব মাসের প্রথম তারিখ হতেই মহান আল্লাহ তা’য়লার কাছে এভাবে দোয়া করতেন যে, ‘হে আল্লাহ তুমি আমাদের রজব ও শা’বান মাসের পূর্ণ বরকতা দান করো এবং মাহে রমযান পর্যন্ত হায়াত দান করো’। তিনি এজন্য এ মাস প্রাপ্তির আকাক্সক্ষা করতেন যে, এ মোবারক মাস আল্লাহর কাছে হিসাবে গ্রহণের শ্রেষ্ঠ মাস। এ মাসেই বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী আল কুরআন নাযিল হয়েছিলো বলেই এ মাস মহাসম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। আর কুরআন নাযিলের  জন্যই রমযান মাসও মহিমান্বিত। এ মাসেই বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয় সহ ইসলামের বড় বড় বিজয় এসেছিলো। তাই অন্য মাসের তুলনায় এ মাসের মরতবা ও মর্যাদা সমধিক। তিনি পবিত্র  মাহে রমযানে সিয়াম ও কিয়াস পালনের তাক্বওয়া ও তাজকিয়া অর্জন করতে সকলকে মনোনিবেশ করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, রমযান মাসের মর্যদা সম্পর্কে পবিত্র কালামে হাকীমে বলা হয়েছে, রমযান মাস এমন একটি মাস যে মাসে আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে; যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। আর রমজান মাস এমন একটি মাস যে মাসে জাহান্নাহের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আর উন্মক্ত করা হয় জান্নাতের দরজাগুলো। হাদিসে কুদসীতে বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, রোজ আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। অনত্র বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রমযান মাসে রোজা রাখতে আল্লাহ তা’য়ালা তার অতীতের সকল গোনাহ মাফ করে দেবেন। তাই মাহে রমযানে আমাদের উদাসীন থাকার সুযোগ নেই বরং রমযানের মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিতে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। প্রতিদান স্বরূপ আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাতের নিয়ামত দান করবেন। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, রমযান গোনা মাফের মাস; তাক্বওয়া অর্জনের মাস। এ মাসের শিক্ষাকে বাস্তবজীবনে কাজে লাগে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন করতে হবে। তিনি রমযানের শিক্ষাকে লাগে লাগিয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলনে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। 



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ